Fragrant-Hideaway

থার্মোমিটার

Thermometer by Jannatul Arpa

কেনো সহ্য করতে পারো না বুঝতে পারি না।
তোমার প্রাক্তনের মতো রুপবতী নই বলে
নাকি কেশ কালো গায়ের রং বলে।
তুমি আমায় ক্ষনে ক্ষনে বুঝিয়ে যাচ্ছো মেয়ে হতে হয় রুপবতী তুলনা হিসেবে বার বার উল্লেখ করছো প্রাক্তনকে।

যাই হোক অভিমানে বাড়ী গিয়েছিলাম। জানি তুমি ফিরিয়ে আনবে না কিন্তু আমায় ফিরতেই হলো।
তোমার নাকি প্রচন্ড জ্বর এসেছে।
ফিরে এসে দেখি তুমি ঘুমোচ্ছো। তোমার ঘুমোন্ত চেহারা আমায় বার বার তোমার মায়ায় ফেলে দেয়।
তোমার আগে যে ঘুম ভেঙে যায় আমার।
ভেজা চুল নিয়ে বের হলাম তখনো তুমি ঘুম, হঠাৎ শাড়ী পড়তে ইচ্ছে হলো। সোনালী পাড়ের লাল শাড়ী পরে নিলাম ঠোটে একটু সাজ। এর মধ্যে উঠলে তুমি।
“আপনার জ্বর এসেছে?” প্রশ্ন করে পাশে বসলাম।
তুমি কিছু না বলায় ঠোট নিয়ে তোমার ঠোটের কাছে গেলাম তোমার নিচের ঠোট আলতো করে স্পর্শ করে বললাম বেশ ভালোই তো জ্বর এসেছে।
তুমি ইতস্তত হয়ে বললে এভাবে কেউ জ্বর মাপে।
“তাই নাকি, তাহলে কি এভাবে মাপে” বলেই কানের কাছে মুখ গুজে স্নিগ্ধ ভাবে স্পর্শ করলাম বেশ বুঝতে পেরেছি শিউরে উঠেছো। মুখ উঠিয়ে আবার বললাম সত্যিই তো বেশ জ্বর এসেছে। সে বিরক্ত হবে নাকি অবাক হবে কিছুই তার মাথায় আসছে না৷ জ্বরে চোখের নিচ কালো ঠোট শুকিয়ে গিয়েছে। বললাম একটু মেরিল লাগিয়ে দেবো। ফাটা ঠোটে অসস্তি তাই সম্মতি দিলো। নিজ ঠোটে মেরিল লাগিয়ে তার ঠোটে ঠোট ঘষে দিলাম। এবারো বোঝা গেলো তার শরীরের
শিহরন। এই প্রথম নিজ থেকে আমায় স্পর্শ করে কোমড়ে হাত দিয়ে কাছে টেনে নিলে। বললাম মাথা টিপে দেবো? সম্মতির সুরে মাথা নাড়ালে।
আমার বুকে তোমায় টেনে নিয়ে তোমায় ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। ক্লান্ত শরীর নিয়ে আমিও ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলাম। ঘুম ভাঙায় উঠে বসলে আমিও জাগ্রত হলাম তোমার কপালে হাত রেখে বুঝতে পারি জ্বর নেই। কাপড় বদলে নিলাম।
তোমার মাথায়ও ঘুরছে জ্বর মাপার থার্মোমিটারের কথা। খুব ভোরে ঘুম ভাঙে তোমার বালিসের কাছে রসুন দেখতে পাই, মুচকি হাসলাম। হাত মুখ ধুয়ে বের হতেই ডেকে বললে শরীর টা ভালো লাগছে না মনে হয় জ্বর এসেছে একটু মেপে দেখবে। বললাম একটু বসেন গোসল দিয়ে আসি। বের হয়ে পাশে বসে কানের কাছে মুখ গুজে আবার সেই স্পর্শ একে দেই। তোমার শরীরের শিহরন আবারো অনুভব করে যাই।
চাপা হাসি হেসে অবাক হওয়ার ভান ধরে বলি আজ তো অনেক জ্বর এসেছে আমার তো কাজে যেতে হবে আমি মা কে বলছি ওষুধ দিয়ে যেতে। তুমি বললে ওষধ লাগবে না। আবদার রাখলে আজ কাজে না গেলে হয়না। বললাম মাথা টিপে দেবো ঘুমোবে? সম্মতি জানিয়ে আকড়ে ধরলে। শক্ত করে টেনে নিয়ে ঘুম পারিয়ে দিলাম সাথে বালিশের নিচ থেকে রসুনটা সরিয়ে নিলাম।
বুকে ঠান্ডা অনুভব করলাম তার মুখ উঠিয়ে দেখি অশ্রু পড়ছে। শিশু স্বরে বললে,
“আমায় ছেড়ে যেও না, তুমি অনন্য,
দুঃখিত তোমায় তুচ্ছ করার জন্য
এভাবে ভালোবেসো আমায়,সব দেবো যা তুমি চাচ্ছ।

চোখের জলগুলো ঠোট দিয়ে নিজের করে নিলাম
দাবি একটাই সুযোগ যদি একটু দাও এক ঝুড়ি ভালোবাসতাম।

কথা গুলো শেষ হতেই ঠোটগুলো নিজের আয়ত্তে করে নিলে
কানের কাছে মুখ গুজে বললাম থার্মোমিটার বানিয়ে ভালোবাসায় ফেলে দিলে।

মিথ্যে জ্বরে হারাতে হবে না আর কোনো তাল।
ভালোবাসার শীতল হাওয়ায় করবো তোমায় মাতাল

Share

One thought on “থার্মোমিটার

  1. আপুর লেখা অনেক সুন্দর, ফ্যান হয়ে গেলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *